
জমি ও দৈর্ঘ্য মাপার ক্ষেত্রে বিভিন্ন একক ব্যবহৃত হয় যেমন: মিটার, ফুট, শতক, বিঘা, কাঠা, একর, হেক্টর ইত্যাদি। সঠিক রূপান্তর জানা খুব জরুরি, বিশেষ করে জমি কেনাবেচা, রেজিস্ট্রেশন ও প্ল্যানিংয়ের সময়। নিচে এক নজরে গুরুত্বপূর্ণ একক রূপান্তরগুলো দেওয়া হলো।
একক | বর্গফুটে মান | বর্গমিটারে মান |
---|---|---|
১ শতক | ৪৩৫.৬ | ৪০.৪৬৯ বর্গমিটার |
১ কাঠা | ৭২০ | ৬৬.৮৯ বর্গমিটার |
১ বিঘা | ১৪৪০০ | ১৩৩৭.৮ বর্গমিটার |
১ একর | ৪৩৫৬০ | ৪০৪৬.৮৬ বর্গমিটার |
১ হেক্টর | ১০৭৬৩৯ | ১০,০০০ |
আপনি যদি এই সব রূপান্তর মাথায় রাখতে না পারেন, তাহলে আমাদের জমি মাপ ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে সহজেই শতক থেকে বিঘা, একর থেকে ফুট, বা কাঠা থেকে মিটার রূপান্তর করতে পারবেন।
লিংক হচ্ছে একটি পুরাতন ভূমি পরিমাপক একক যা সাধারণত ফুট ভিত্তিক স্কেলে ব্যবহৃত হয়। এটি মূলত ব্রিটিশ আমলের ভূমি জরিপ পদ্ধতির অংশ। এখনো অনেক জায়গায় খতিয়ান বা পুরনো রেকর্ডে জমির পরিমাণ লিংকে দেওয়া থাকে। তাই লিংকের সঠিক মান জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
অনেক সময় জমির দৈর্ঘ্য ও প্রস্থ লিংকে দেওয়া হয়, যেমন: ১০০ লিংক দৈর্ঘ্য এবং ৫০ লিংক প্রস্থ। এর দ্বারা আপনি জমির মোট ক্ষেত্রফল বের করতে পারেন, যা সাধারণত স্কয়ার লিংক হিসাবে প্রকাশ করা হয়। স্কয়ার লিংককে স্কয়ার ফুটে রূপান্তর করতে হলে, নিচের সূত্র ব্যবহার করতে হয়:
১ স্কয়ার লিংক = 0.4356 বর্গফুট (ঠিক ১ শতকের ১/১০০ অংশ)
ধরুন, একটি জমির দৈর্ঘ্য ১০০ লিংক এবং প্রস্থ ৫০ লিংক। তাহলে জমির ক্ষেত্রফল হবে:
১০০ × ৫০ = ৫০০০ স্কয়ার লিংক
স্কয়ার ফুটে রূপান্তর করতে: ৫০০০ × ০.4356 = ২১৭৮ স্কয়ার ফুট ≈ ৫ শতক
জমি মাপ বলতে বোঝায় কোনো নির্দিষ্ট এলাকার দৈর্ঘ্য, প্রস্থ এবং ক্ষেত্রফলের সঠিক পরিমাপ। বাংলাদেশে জমি মাপ সাধারণত শতক, বিঘা, কাঠা, একর এবং স্কয়ার ফিটে করা হয়। তবে আধুনিক যুগে স্কয়ার মিটার ও একরের ব্যবহারও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
১ শতক = ৪৩৫.৬ স্কয়ার ফিট। তাই জমি মাপের সময় একক বুঝে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। অনেক সময় মানুষ জমির পরিমাণ জানলেও পাশ কত হতে পারে, সেটা বুঝতে পারে না। আমাদের টুল দিয়ে আপনি শতক বা শতাংশ থেকে জমির পাশ যেমন দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা ব্যাসার্ধ হিসাব করতে পারবেন।
আপনি যদি জানেন জমির আয়তন কত শতাংশ, তাহলে একটি পাশ (যেমন দৈর্ঘ্য বা ভিত্তি) জানলেই সহজে আরেক পাশ বের করা সম্ভব। যেমনঃ ৫০ শতাংশ জমির দৈর্ঘ্য যদি ৬০ ফুট হয়, তাহলে প্রস্থ হবে (মোট স্কয়ার ফিট ÷ দৈর্ঘ্য)। আমাদের টুলটি এই কাজটি আপনার জন্য মুহূর্তেই করে দেবে।
অনেক সময় জমির দলিল বা কাগজে এককে ভিন্নতা থাকে। যেমন একজন বলছেন ৫ কাঠা, আরেকজন বলছেন ৭.৫ শতক। এই দ্বন্দ্ব দূর করতে আমাদের ক্যালকুলেটর বিভিন্ন একক রূপান্তর করতে পারে – শতক থেকে ফুট, মিটার থেকে গজ, বা লিঙ্ক থেকে হাত ইত্যাদি।
গ্রামে জমি মাপ সাধারণত শতক ও বিঘায় করা হয়। শহরে জমি মাপ বেশি হয় স্কয়ার ফিট ও কাঠায়। শহরের জমির মুল্য বেশি হওয়ায় অনেক সময় ছোট অংশও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তাই সঠিক পাশ জানা আবশ্যক। জমির মাপ জানা না থাকলে কেনাবেচা বা নির্মাণে বড় ক্ষতির আশঙ্কা থাকে।
আপনি যদি ভবিষ্যতে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করতে চান, তাহলে প্ল্যান অনুমোদনের জন্য জমির দৈর্ঘ্য, প্রস্থ জানা অত্যন্ত জরুরি। সাইট ডিজাইন করার সময় পাশ অনুযায়ী বিল্ডিং লে-আউট তৈরি হয়। তাই আগে থেকেই পাশ জানা থাকলে আপনি ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত থাকবেন।
আগে জমি মাপার জন্য রশি ও লাঠি ব্যবহার করা হতো। এখন আপনি স্মার্টফোন বা কম্পিউটার দিয়ে অনলাইন ক্যালকুলেটর ব্যবহার করে দ্রুত এবং নির্ভুলভাবে জমি মাপতে পারেন। আমাদের টুলটি বিশেষভাবে তৈরি, যাতে আপনি শতকে জমি দিয়ে সহজেই পাশ বের করতে পারেন।